উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনকালে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল ঢুকে পড়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।
বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে তারা প্রবেশ করে। প্রায় ৩০ মিনিট সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও আইনজীবী সমিতির ভবনের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে আইনজীবী ও পুলিশের অনুরোধে তারা সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ত্যাগ করে।
শিক্ষার্থীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে বিএনপি-জামায়াত পন্থী আইনজীবীরা দুপুর ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গেটে তালা দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে মাজার গেটের পশ্চিমপাশে থাকা পকেট গেটে থাকা ব্যরিকেট ভেঙে কয়েকজন আইনজীবী বাইরে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দেন।
এরপর দুপুর ১টা ২৭ মিনিটের দিকে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একই গেটের ব্যারিকেট পুনরায় ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা মাজার গেটের ভেতরে প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে তারা এখান থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের দিকে এগিয়ে যান। দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মিছিল-স্লোগানে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তারা।
এ সময় তাদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘তর কোটা তুই নে, আমার ভাইরে ফেরত দে’, ‘ছাত্রদের ওপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব দে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, গ্রীণ ইউনিভার্সির্টি, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।
এতে সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপি জামায়াত-সমর্থক আইনজীবীরাও অংশ নেন।
পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দিতে মাজার গেট দিয়ে শিক্ষা অধিকার চত্বরের দিকে বেরিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিপুল পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও আন্দোলনকারীদের কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি।