সাভারে বিএনপির মৃত নেতার বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলা
মো:সুজন আহমেদ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সাভারে সহিংসতার মামলায় আসামি করা হয়েছে এক মৃত ব্যক্তিকে। এই ভুলকে পুলিশ ‘প্রিন্টিং মিসটেক’ বললেও মামলার বাদী বলছেন, কাউকে চেনেন না তিনি। বাস মালিকের কথায় থানায় গিয়ে তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম আজগর আলী। তার বাবার নাম আফছার উদ্দিন। তিনি আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মৃত আজগরের স্ত্রী সোহেলী সুলতানা বলেন, যেহেতু আমার স্বামী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তার মৃত্যুর সনদ সাভার ও আশুলিয়া থানায় দিয়ে আসি। যাতে পুলিশ আর মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি না করে। তবুও রেহাই পেলেন না।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত বাস জাহাঙ্গীর পরিবহনের সুপারভাইজার নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাজ গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি আসলে কিছুই বলতে পারবো না। বাসের মালিক আমাকে থানায় গিয়ে স্বাক্ষর করে আসতে বলেছিলেন। আমি শুধু তাই করেছি। যারা আমাদের গাড়িতে আগুন দিয়েছিল আমি তাদের চিনি না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই রাতে আন্দোলনকারীরা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চারটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দেন।
এ ঘটনায় পুড়ে যাওয়া বাস জাহাঙ্গীর পরিবহনের সুপারভাইজার আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান বলেন, প্রিন্টিং মিসটেক বা তথ্যগত ভুল হতে পারে। তদন্ত করে ভুল শুধরে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।