নেত্রকোনায় কোথাও কোনো হামলা যেন না হয় টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী
নেত্রকোনার সর্বত্র সেনাবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। জেলা ছাড়াও সব উপজেলাতে চলছে ক্যাম্প স্থাপনের কাজ। জেলার সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হওয়ায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। শহরের বাজার থেকে শুরু করে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম। এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে জনগণের লুট হওয়া মালামাল ফেরত দিতে বাধ্য করছে সেনাবাহিনী।
লুটের মালামাল যেখানে যাদের কাছেই পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন অল্টিমেটাম বাহিনীটির পক্ষ থেকে জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচার করায় সাধারণ নাগরিকরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। এছাড়াও পুলিশ সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকায় সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদানে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও জেলার সকল মন্দিরে মন্দিরে আনসার সদস্য ছাড়াও শিক্ষার্থী এবং মসজিদের নেতারা দিচ্ছেন পাহাড়া। কোথাও কোনো ধরনের হামলা যেন না হয় সেদিকে টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী।
জরুরি অবস্থার শুরু থেকেই জেলা সদরের ইনডোর স্টেডিয়ামে ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিয়ন্ত্রণ দপ্তর স্থাপন করে সেনাবাহিনী। যেখান থেকে ১০টি উপজেলায় দুটি ইউনিটে দায়িত্ব পালন করছে। এখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সদর উপজেলা ছাড়াও পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলা। শুক্রবার থেকে আরও চার উপজেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজর জিসানুল হায়দার।
এদিকে মদন উপজেলা সদরের জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজে ৬৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিয়ন্ত্রণ দপ্তর স্থাপন হয়েছে। সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলা। প্রতিটি থানায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদারেও দেখা গেছে সেনাবাহিনীর তৎপরতা। ফলে সকল শ্রেণিপশোর মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক কমতে শুরু করেছে।