আশুলিয়ায় বিএনপির নেতা মোবারক হোসেন এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ
কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপি নেতা মোবারকহোসেনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা; স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ
জনপ্রিয়তায় ঈর্শনীয় হয়ে কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপি নেতা মোবারক হোসেনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন মিথ্যা তথ্যে সংবাদ উপস্থাপন হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ।
ওই বিএনপি নেতার নাম মোবারক হোসেন। তিনি শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক হামলা মামলার শিকার হলেও বিএনপির আদর্শ থেকে সড়াতে পারেনি। ঐক্যবদ্ধ শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপিকে আগলে রেখেছেন সঠিক নেতৃত্বে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পলানোর পর তাকে নিয়ে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। একের পর এক মিথ্যাচার করছে একটি চক্র। যাতে করে নেতৃত্বের আসনটি পেতে পারে।
সবশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সমাচার নামের একটি অনলাইনে ” আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় কে এই বিএনপি নেতা মোবারক? ” শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। সেখানে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে তোলা ছবিকে নোংরা ভাবে রাজনৈতিক ছবিতে রূপ দেয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, একটি সমাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে সকলে একটি ফটোসেশান করেন। সেই ছবিকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ। সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয় আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেংগুড়ীতে অবস্থিত আলফা গার্মেন্টসের ঝুট ব্যাবসার দখল করতে তিনি হামলা চালান। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ ওই ব্যবসাটি অন্য এক ব্যাক্তির নামে রয়েছে। তা তল্লাশি করলেই বেরিয়ে আসবে।
সংবাদটিতে শ্রমিক অসন্তোষের মোবারক হোসেনের নাম জড়ানো চেষ্টা করায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তাদের অভিযোগ, যিনি শ্রমিক বিক্ষোভ ঠেকাতে সব সময় মাঠে থেকে কাজ চালিয়ে গেছেন। আর তাকেই মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিএনপি নেতা মোবারক হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, অসত্য, মনগড়া, কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন একটি চক্র। যা খুব দুঃখজনক। আমি তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সঙ্গে এধরণের মিথ্যা তথ্য দেখে কাউকে বিভ্রান্তি না হতে অনুরোধ করছি।
সে সঙ্গে এ ধরনের অপপ্রচার কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মোবারক হোসেন।