বরগুনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
বরগুনায় আসমা আক্তার পুতুল (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী মো. আবুল কালাম (৩৫)। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগান বাড়ি নাম এলাকার ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আবুল কালাম বরগুনা পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
নিহত ওই গৃহবধূ বরগুনার চান্দখালী এলাকার বকুলতলী নামক এলাকার বাসিন্দা ইউনুসের মেয়ে। তবে কি কারণে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বরগুনার পৌরসভার নাথপট্টি লেক সংলগ্ন একটি বাসায় স্ত্রী ও এক ছেলে এক সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন আবুল কালাম। তিনি একটি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। নিহত স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিতে তিনি সব খরচ বহন করেন। তবে স্ত্রী পূবালী ব্যাংকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে চাকরি পেলে বেতনের টাকা স্বামীকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।
রবিবার রাত ৮টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখে। পরে আবুল কালাম ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসার মালিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ওরা আমাদের বাসায় দেড় বছর যাবৎ ভাড়া থাকত। আজ সন্ধ্যা ৭টার পর আমার বাসার লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে বাসায় ভাড়াটিয়ার মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে দ্রুত চলে আসো। পরে এসে দেখি আসমা আক্তারকে মেরে ওর স্বামী বাসা ছেড়ে চলে গেছে। ওদের বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই। পরে পুলিশ আসলে আসমা আক্তারকে উদ্ধা করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ওর বড় ছেলে তার বড় মামাকে ফোন দিলে তিনি হাসপাতালে চলে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম মিয়া বলেন, আটক যুবক বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী বরগুনা পূবালী ব্যাংকে পরিছন্নতা কর্মী ছিলেন। এ চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে আবুল কালাম তার স্ত্রীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন এখন স্ত্রী চাকরির বেতনের টাকা স্বামীকে দিচ্ছিলেন না। এ কারণেই হয়তো এই হত্যাকাণ্ড। আমরা এখনই স্বামী আবদুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছি না। কারণ তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।