নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের জন্য ভ্যানচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুক্তিপণের জন্য ভ্যানচালক হাবিবুর রহমানকে (২১) শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার নারায়ণগঞ্জের মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পটুয়াখালী সদরের মো. ছগির (৩৮), লক্ষ্মীপুর সদরের রেহেনা (২৫), মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মো. আবু বার সিদ্দিক (৫২), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মো. আরিফ (২৫), পটুয়াখালী সদরের মো. নুর জামান (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে তার বাবা মো. আজিজুল হকের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায়, হাবিবকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে মুক্তি দিতে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হলে তাকে মেরে ফেলা হবে। তখন হাবিবের বাবা জানান, তিনি পেশায় ভ্যানচালক এবং এতো টাকা দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অপহরণকারীরা ফোন কেটে দেয়।
এরপর রাত ১২টার দিকে আবারও ফোন করে টাকা দাবি করা হয় এবং এরপর থেকে হাবিবের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর চারদিন পর, ২৮ জানুয়ারি ফতুল্লার আমতলা হরিহরপাড়া এলাকার স্বপন সরকারের বাড়ির নিচতলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাট থেকে হাবিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হাবিবকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে আটক রাখে। পরে মুক্তিপণের জন্য চাপ দিলে হাবিব চিৎকার করতে থাকলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর ২৯ জানুয়ারি ফতুল্লা থানার একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানার একটি টিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামি কবির ও রেহেনাকে মুন্সিগঞ্জের হাতিমারা, মো. আবু বক্কর সিদ্দিককে ঢাকার পোস্তগোলা এলাকা, মো. আরিফকে ফতুল্লার শাসনগাঁও, নুর জামানকে ফতুল্লার দাপা ইসরাকপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি রেহেনা জানায়, ওই ভ্যানচালককে ফোন করে এক বাসার রুমে নিয়ে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে মুক্তিপণের বিষয়ে চাপ দিলে ওই ব্যক্তি চিৎকার চেচামেচি করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।