আশুলিয়ায় যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর-
আশুলিয়া থানা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, এসময় পিয়ার আলি ও ইদ্রিস আলি সহ প্রায় ৩০/৪০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং প্রায় ২০০০ লোকের জন্য রান্না করা খাবার মাটিতে ফেলে দিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১ঘটিকার সময় আশুলিয়ার ভাদাইল রুপায়ন মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
ইফতার পার্টির আয়োজন করেন মো জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানা যুবদল নেতা। এতে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু প্রধান অতিথি,বিশেষ অতিথি রকিব দেওয়ান রকি ও সঞ্চালনায় মো তাজুল ইসলাম উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
আশুলিয়া থানা যুবদল নেতা মো জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করছিলাম। কিন্তু পিয়ার আলী ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমাদের প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে এবং গালিগালাজ করে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
আরো বলেন, পিয়ার আলীর নামে আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দুপুর ১ ঘটিকার সময় হঠাৎ করে বিএনপি নেতা পিয়ার আলী ও ইদ্রিস আলী এর নেতৃত্বে দলবেঁধে ৩০/৪০জন লোক লাঠি,রামদা, চাপাতি, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে কিছু বুঝার আগে পেন্ডাল, মোটরসাইকেল, চেয়ার, সাউণ্ড সিষ্টেম ভাংচুর করে এরপর ২০০০জনের জন্য ইফতারের আয়োজিত রান্না করা খাবার নষ্ট করে ফেলে।
পিয়ার আলী ও তার লোকজনের হামলায় যুবদল কর্মী সাঈদ, শাহাদাত, আহত হয় ,এছাড়া, ডেকোরেশনের লোকজনকেও মারধর করা হয়।”
এ ঘটনার বিষয়ে আশুলিয়া থানার তদন্ত (ওসি) কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”