কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান চলছে।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাতেও রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২১ মে) মধ্যরাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সড়কে ছিলেন ইশরাক হোসেন।
এ সময় দেখা যায়, কয়েক শ নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তাদেরকে ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই/ লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘যমুনারে যমুনা/ আমি কিন্তু যাব না,’ ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা/ চলবে না, চলবে না,’ ‘আদালতে হস্তক্ষেপ/ চলবে না, চলবে না,’ ‘এ লড়াইয়ে জিতবে কারা/ ইশরাক ভাইয়ের সৈনিকেরা’-সহ নানা স্লোগান দেন তারা। এ বিক্ষোভ ঘিরে এলাকাটিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএনপির নেতাকর্মীদের এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তারা অবস্থান নেন। দিনভর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অবস্থান কর্মসূচিতে এসে ঘোষণা দেন, মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
পাশাপাশি তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন।
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ইশরাক হোসেন বলেন, ডিএসসিসি নির্বাচন নিয়ে আদালতের রায় পাওয়ার পর থেকে পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ করতে গিয়ে এখানে প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান সরকার পুরোপুরি নিরপেক্ষ নন। এখানে বিভিন্ন ব্যক্তিরা রয়েছেন, যারা বিশেষত বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং আমাদেরকে বাধাগ্রস্ত করছেন। এ রকম একটি রাজনৈতিক মনোভাবসম্পন্ন অথবা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সফট কর্নার রয়েছে এ রকম যদি একটি সরকার থাকে, তাদের অধীনে কোনো দিনও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা দলের সাথে সম্পৃক্ত, তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে তারা তাদের দলে গিয়ে রাজনীতি করুক, সংগঠন করুক, তাদেরকে স্বাগতম, কোনো সমস্যা নাই।
একজন উপদেষ্টার বিষয়ে অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, আদালত থেকে আমরা রায় পাওয়ার পর একজন উপদেষ্টা রায় দেওয়া বিচারককে ফোন করে এক ধরনের হুমকি প্রদান করে। যেহেতু অফিশিয়াল প্রমাণ নাই, তাই এত দিন বিষয়টি সবাইকে বলিনি। এরপর নির্বাচন কমিশন, আইন মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আমি যাতে শপথ নিতে না পারি, তাতে তারা হস্তক্ষেপ করেন।
এ উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকা অবস্থায় সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সঠিক নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় মন্তব্য করে ইশরাক বলেন, তাই এটাকে (উপদেষ্টা পরিষদকে) পরিবর্তন করতে হবে।