সাভারে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা সেই শ্রমিকলীগ নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিনি পোশাকখাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা, ছাত্র-জনতা হত্যাচেষ্টা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি বলে জানা গেছে।
রবিবার (৮ জুন) শাহ-আলমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন। এর আগে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করলে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গ্রেপ্তার শাহ-আলম পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার রামজিশান্তি গ্রামের মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি শ্রমিক রাজনীতিতেও নাম লেখান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে তিনি লোকজন নিয়ে হামলা করেন। তবে অজানা শক্তির কারনে তিনি ছিলেন ধরা ছোয়ার বাইরে। সম্প্রতি ব্যবসা, দখল, ডাকাতিসহ শ্রমিক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় বিচারক।
এব্যাপারে স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, শাহ-আলম শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পোশাক খাতে দাপিয়ে বেড়ান বিগত সময়ে। এখন ফ্যাসীবাদ সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রোগ্রামের নামে পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি। এজন্য তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠিয়েছে বলে জানা যায়। তাকে গ্রেপ্তার করায় খুশি শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, শাহ-আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে থানায় হস্তান্তর করলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানি।