নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পাঞ্চল ঢাকার আশুলিয়ার ঘোষবাগ নামক এলাকায় মাদ্রাসার পড়ুয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছদ্মনাম লিমা (১৩) আক্তারের সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রসার প্রিন্সিপাল নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষক আলহেরা দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা জেলার ওলামা বিভাগের নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

জানা যায়, ১৭ই জুন মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে নামাজ ও খাবার বিরতির আগে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিল।এ সময় ওই ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ডাকেন ওই অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল নাজমুল হাসান। তারপর তার সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কর্মকান্ডের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই ছাত্রীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে গণধোলাইয়ের দেয়। পরে স্থানীয়রা মিলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলেই বসে মিমাংসা করে ফেলেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই মদন সাহা বলেন, ঘটনার সময় আমি ৯৯৯ নাইনে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ের বাবা আগেই স্থানীয়দের নিয়ে সমাধান করে ফেলেছেন। মেয়ের বাবার কোন অভিযোগ না থাকায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নেইনি।

বাংলাদেশ জামায়াতের একজন নায়েবে আমীর পদে বহাল থেকে এমন জঘন্যতম কাজে লিপ্ত হতে পারেন কিনা এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর ড. শফিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি সূত্র জানিয়েছেন,এমন জঘন্যতম কাজ আমাদের সংগঠন পরিপন্থী। ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই ওই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তার স্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। এমন জঘন্যতম কাজের জন্য দ্রুত উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবিও জানিয়েছেন সচেতন মহল।